জাবি ছাত্রী-শিক্ষকের পরকীয়া হয় যেভাবে!

জাবি ছাত্রী-শিক্ষকের পরকীয়া হয় যেভাবে!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষিকার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে তোলপাড় চলছে। অনার্স প্রথম বর্ষে প্রথম স্থান অধিকার করলে ওই শিক্ষক ছাত্রীকে খুঁজে বের করেন। পরে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেখান থেকে গড়ে ওঠে প্রেমে সম্পর্ক। ওই শিক্ষক বিবাহিত হলেও তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই ছাত্রীর। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই ওই কথা বলে তাদের মধ্য সম্পর্ক পরিণতির দিকে যেতে থাকে। এরই মাঝে ওই ছাত্রী একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন।

 

তাদের তাদের সম্পর্ক আরো সামনের দিকে এগোতে থাকে। একপর্যায়ে তারা বিয়ে করলেও তা গোপন রাখেন। এসময় তাদের প্রথম সন্তান হলেও তার স্বীকৃতি এখনও মেলেনি। দ্বিতীয়বার ওই শিক্ষিকা গর্ভবতী হলে তাদের মধ্যে মনমালিন্য তৈরি হয়। গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে থাকেন ওই শিক্ষক। বিষয়টি মেনে না নেয়ায় ওই শিক্ষিকাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে। এতেও কাজ না হওয়ায় তাদের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এ অবস্থায় ওই শিক্ষিকা জাবি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিষয়টি জাবি ভিসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকা।

O general AC price in Bangladesh

জাবি ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষিকার যেভাবে প্রেমের সম্পর্ক : জাবি ছাত্রীর ভাষ্যমতে কলা ও মানবিক অনুষদে প্রথম স্থান অধিকার করলে ওই বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর আফসার আহমদ নিজে থেকেই আমার সাথে পরিচিত হন। স্নাতকে ভালো ফলাফল করার কারণে তার সাথে আমার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমি তার প্রিয় ছাত্রীদের একজন বলে অভিহিত করে তিনি আমার সাথে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রথম স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও তিনি পারিবারিক জীবনে অসুখি বলে আমাকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করেন। এছাড়া প্রথম স্ত্রীর সাথে ২০১৫ সালের নভেম্বরের মধ্যেই বিবাহ বিচ্ছেদ হবে বলে আমাকে জানান।

অভিযোগকারী আরও বলেন, আফসারের সাথে ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। কিন্তু প্রথম স্ত্রীর কাছে লঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে সে বিয়ের কথা গোপন রাখতে বলে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি প্রথমবার অন্তঃসত্ত্বা হলে আফসারের পরিচিত ডাক্তাদের দ্বারা সন্তান প্রতিবন্ধি হওয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটায়।

এমন নাটকীয়তার মধ্যে এ বছরে ১ম বিবাহ বার্ষিকীতে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আমাকে পুনঃবিবাহ করে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ২য় বার অন্তঃসত্ত্বা হলে সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সন্তান জন্ম নিলে সে পিতৃ পরিচয় দেবে না এমন নানা হুমকি দিয়ে বাচ্চা জন্ম দিতে নিষেধ করে।

তার কথায় রাজি না হওয়ার সে আমাকে ও আমার সন্তানকে হত্যার হুমকি দেয়। এঅবস্থায় আমি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আত্মগোপন করি। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর একটি পুত্র সন্তান জন্ম নিলে ২৫ সেপ্টেম্বর সে আমাকে তালাকের নোটিশ পাঠায়।

ভুক্তভোগি শিক্ষিকা ভিসির কাছে তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে বলেন, আমি মুখ খুললে বা কোন রকম আইনের সহায়তা নিলে তারা আমাকে গুম ও হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাবান আত্মীয়দের ভয় দেখিয়ে আফসারের স্ত্রী ও জামাতা আমার পরিবারকে জঙ্গি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার হুমকি দেয়। আমার বোনের ছেলে-মেয়েদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে এমনকি আমার বোনের মেয়কে পুলিশের কাস্টাডিতে ধর্ষণেরও হুমকি দিয়েছে। এসব কিছুতেই যদি কাজ না হয় তবে গোপন ভিডিও ইন্টানেটে প্রকাশ করারও হুমকি দিয়েছে।

এব্যাপারে জাবি ভিসি প্রফেসর ফারজানা ইসালাম বলেন, অভিযোগ পত্রটি হাতে পেয়েছি। তদন্তের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment